ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপালগঞ্জে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা, অত্যাচার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করার -প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীতুবা আলমগীর ইসলাম ধর্ম ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গোবিন্দগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত পাটগ্রাম সীমান্তে দিয়ে ফের শিশুসহ ৭জনকে বিএসএফের পুশইন। সিএসএস-এমএফপি’র আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা লালমনিরহাটের বাঁশ শিল্পীরা অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কলাপাড়া শ্রমিক দল  নেতা সোহেল দেওয়ানকে বহিষ্কার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,অনৈতিক কার্মকান্ডে জড়িত থাকায় সোহেল দেওয়ান কে শ্রমিক দলের সদস্য পদ ও সাংগঠনিক পদ থেকে ষ্কার করা হয়েছে।
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপালগঞ্জে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা, অত্যাচার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করার -প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীতুবা আলমগীর ইসলাম ধর্ম ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গোবিন্দগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত পাটগ্রাম সীমান্তে দিয়ে ফের শিশুসহ ৭জনকে বিএসএফের পুশইন। সিএসএস-এমএফপি’র আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা লালমনিরহাটের বাঁশ শিল্পীরা অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কলাপাড়া শ্রমিক দল  নেতা সোহেল দেওয়ানকে বহিষ্কার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,অনৈতিক কার্মকান্ডে জড়িত থাকায় সোহেল দেওয়ান কে শ্রমিক দলের সদস্য পদ ও সাংগঠনিক পদ থেকে ষ্কার করা হয়েছে।

কোরআনে ইহুদি জাতির চরিত্র নিয়ে যা বলা হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহান আল্লাহ ইহুদিদের মাঝে বহু নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। তাদেরকে আসমানি কিতাবও দিয়েছেন। তাই তাদের বলা হয় আহলে কিতাব। যারা মুসার (আ.)-এর পর প্রেরিত আল্লাহর দুজন নবি ঈসা (আ.) ও মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসেবে স্বীকার করে না, তারা ‘ইহুদি’ নামে পরিচিত।

ইহুদি শব্দটি পবিত্র কোরআনে ৯ বার উল্লেখ করা হয়েছে। ইহুদিরা হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বংশধর। ইহুদি শব্দটি এসেছে ইয়াহুদা থেকে, যিনি ছিলেন হজরত  ইয়াকুব আলাইহিস সালামের জ্যেষ্ঠপুত্র ও হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ভাই। মূলত শব্দটি ছিল ইয়াহুজা। জালকে দাল দিয়ে পরিবর্তন করে আরবি করা হয়েছে।  

ইয়াহুদা শব্দের অর্থ তাওবাকারী। গোবৎস পূজা থেকে তওবা করার কারণে তার নাম হয়েছে ইয়াহুজা। অর্থাৎ তাওবাকারী। (কুরতুবি প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা-৩৩৮)

পবিত্র কোরআনে ইহুদি জাতির চরিত্র নিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,

لَاَنْتُمْ اَشَدُّ رَهْبَةً فِيْ صُدُوْرِهِمْ مِّنَ اللهِ  ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ

অর্থ: (হে মুসলিমগণ!) প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরে আল্লাহর চেয়ে তোমাদের ভয়ই বেশি। তা এজন্য যে, তারা এমনই এক সম্প্রদায়, যাদের বুঝ নেই। (সুরা হাশর, আয়াত: ১৩)

এখনো দেখা যায় কথিত বড় সামরিক শক্তি হওয়া সত্ত্বেও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের প্রতি তারা এত ভীত! ইসলাম ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে বনু নজিরের ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর নবীজি যখন তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে মদিনা থেকে চলে যাওয়ার সময় বেঁধে দিলেন, মুনাফেকদের প্রলোভনে তারা মদিনায় বসে থাকল। অবশেষে মুনাফেকদের সাহায্য না পেয়ে তারা দুর্গে গিয়ে আশ্রয় নিল। এই প্রসঙ্গে কোরআনের সুরা হাশর নাজিল হয়। সেখানে এও বলা হয়েছে,

لَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ جَمِيْعًا اِلَّا فِيْ قُرًي مُّحَصَّنَةٍ اَوْ مِنْ وَّرَآءِ جُدُرٍ  بَاْسُهُمْ بَيْنَهُمْ شَدِيْدٌ تَحْسَبُهُمْ جَمِيْعًا وَّ قُلُوْبُهُمْ شَتّٰي ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُوْنَ

অর্থ: তারা সকলে একাট্টা হয়েও তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে না, তবে এমন জনপদে (করবে), যা প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত অথবা (করবে) দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে। তাদের আপোসের মধ্যে বিরোধ প্রচণ্ড। তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে কর, অথচ তাদের অন্তর বহুধা বিভক্ত। তা এজন্য যে, তারা এমনই এক সম্প্রদায়, যাদের আকল-বুদ্ধি নেই। (সুরা হাশর, আয়াত: ১৪)

পরকালের সফলতা একমাত্র নিজেদের বলে নবীজির কাছে তাদের মিথ্যা আস্ফালন দেখাতো, কিন্তু নবীর পক্ষ থেকে যখনই তাদের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হত যে, যদি তোমরা আল্লাহর এতই প্রিয় বান্দা হয়ে থাক, পরকালের সফলতা যদি তোমাদেরই হয়ে থাকে, তাহলে এই জগৎ থেকে ওই জগতের পাড়ি দেওয়ার একমাত্র সেতুপথ মৃত্যুটা একটু কামনা করে দেখাও না! কিন্তু মৃত্যু কামনা দূরের কথা; এদের একেকজন কামনা করে, যদি পৃথিবীতে হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকা যায়! (সুরা বাকারা, আয়াত: ৯৪-৯৬)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোরআনে ইহুদি জাতির চরিত্র নিয়ে যা বলা হয়েছে

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

মহান আল্লাহ ইহুদিদের মাঝে বহু নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। তাদেরকে আসমানি কিতাবও দিয়েছেন। তাই তাদের বলা হয় আহলে কিতাব। যারা মুসার (আ.)-এর পর প্রেরিত আল্লাহর দুজন নবি ঈসা (আ.) ও মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসেবে স্বীকার করে না, তারা ‘ইহুদি’ নামে পরিচিত।

ইহুদি শব্দটি পবিত্র কোরআনে ৯ বার উল্লেখ করা হয়েছে। ইহুদিরা হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বংশধর। ইহুদি শব্দটি এসেছে ইয়াহুদা থেকে, যিনি ছিলেন হজরত  ইয়াকুব আলাইহিস সালামের জ্যেষ্ঠপুত্র ও হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ভাই। মূলত শব্দটি ছিল ইয়াহুজা। জালকে দাল দিয়ে পরিবর্তন করে আরবি করা হয়েছে।  

ইয়াহুদা শব্দের অর্থ তাওবাকারী। গোবৎস পূজা থেকে তওবা করার কারণে তার নাম হয়েছে ইয়াহুজা। অর্থাৎ তাওবাকারী। (কুরতুবি প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা-৩৩৮)

পবিত্র কোরআনে ইহুদি জাতির চরিত্র নিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,

لَاَنْتُمْ اَشَدُّ رَهْبَةً فِيْ صُدُوْرِهِمْ مِّنَ اللهِ  ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ

অর্থ: (হে মুসলিমগণ!) প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরে আল্লাহর চেয়ে তোমাদের ভয়ই বেশি। তা এজন্য যে, তারা এমনই এক সম্প্রদায়, যাদের বুঝ নেই। (সুরা হাশর, আয়াত: ১৩)

এখনো দেখা যায় কথিত বড় সামরিক শক্তি হওয়া সত্ত্বেও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের প্রতি তারা এত ভীত! ইসলাম ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে বনু নজিরের ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর নবীজি যখন তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে মদিনা থেকে চলে যাওয়ার সময় বেঁধে দিলেন, মুনাফেকদের প্রলোভনে তারা মদিনায় বসে থাকল। অবশেষে মুনাফেকদের সাহায্য না পেয়ে তারা দুর্গে গিয়ে আশ্রয় নিল। এই প্রসঙ্গে কোরআনের সুরা হাশর নাজিল হয়। সেখানে এও বলা হয়েছে,

لَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ جَمِيْعًا اِلَّا فِيْ قُرًي مُّحَصَّنَةٍ اَوْ مِنْ وَّرَآءِ جُدُرٍ  بَاْسُهُمْ بَيْنَهُمْ شَدِيْدٌ تَحْسَبُهُمْ جَمِيْعًا وَّ قُلُوْبُهُمْ شَتّٰي ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُوْنَ

অর্থ: তারা সকলে একাট্টা হয়েও তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে না, তবে এমন জনপদে (করবে), যা প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত অথবা (করবে) দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে। তাদের আপোসের মধ্যে বিরোধ প্রচণ্ড। তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে কর, অথচ তাদের অন্তর বহুধা বিভক্ত। তা এজন্য যে, তারা এমনই এক সম্প্রদায়, যাদের আকল-বুদ্ধি নেই। (সুরা হাশর, আয়াত: ১৪)

পরকালের সফলতা একমাত্র নিজেদের বলে নবীজির কাছে তাদের মিথ্যা আস্ফালন দেখাতো, কিন্তু নবীর পক্ষ থেকে যখনই তাদের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হত যে, যদি তোমরা আল্লাহর এতই প্রিয় বান্দা হয়ে থাক, পরকালের সফলতা যদি তোমাদেরই হয়ে থাকে, তাহলে এই জগৎ থেকে ওই জগতের পাড়ি দেওয়ার একমাত্র সেতুপথ মৃত্যুটা একটু কামনা করে দেখাও না! কিন্তু মৃত্যু কামনা দূরের কথা; এদের একেকজন কামনা করে, যদি পৃথিবীতে হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকা যায়! (সুরা বাকারা, আয়াত: ৯৪-৯৬)