বিশ্বমানের খেলোয়াড় বের না হওয়ার পেছনে সিলেকশনের অনিয়মকে দায়ী করলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক

- আপডেট সময় : ১০:০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুনীরুল ইসলাম। ছবি: দেশ সময়
বিকেএসপির প্লেয়ার সিলেকশনে নিয়ম মানা হয়নি, তাই বিগত দিনে বিশ্বমানের খেলোয়াড় বের হয়নি। এমন মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুনীরুল ইসলাম। তবে এই বলয় থেকে বিকেএসপি বের হয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।দেশের খেলোয়াড় তৈরির আঁতুড়ঘর বিকেএসপি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি বেশ লম্বা সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে আসিফ, সাকিব কিংবা মামুনুল মানের খেলোয়াড় আসেনি ক্রীড়াঙ্গনে। কী সেই কারণ, কোনো রাখঢাক না করেই সরাসরি জানালেন বিকেএসপি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুনীরুল ইসলাম।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যদি আমি বিকেএসপির প্লেয়ার সিলেকশনের সময় আপনার রিকোয়েস্ট শুনে, কেউ আমার আত্নীয়, কেউ আমার বাড়ির পেছনে তাদের নিয়ে যদি আমি ৪০ শতাংশ সিলেকশনটা অনুরোধ নিয়ে আসি। তাহলে আমার কোচদের ৬-৭ বছর হ্যামারিং করেও ওই খেলোয়াড়দের আমি জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনতে পারব না। যেটা করতে পারব সেটা হচ্ছে– ভাড়াটে খেলোয়াড়, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ক্ষ্যাপ খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।’
বিগত সময়ে অনুরোধের মাধ্যমে ভর্তির অভিযোগ উঠলেও এখন শতভাগ মেধা ও স্বচ্ছতায় হচ্ছে বলে মন্তব্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুনীরুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই হয়েছে (স্বজনপ্রীতি), কিন্তু সর্বশেষ যেটা গত ডিসেম্বরে একটা খেলোয়াড়ও রিকোয়েস্টের ছিল না। যে কোয়ালিটিফুল সেই এসেছে (ভর্তি হয়েছে)। ইনশা-আল্লাহ এর ফলাফল আগামী তিন চার বছরের মধ্যে পাব আশা করি।’
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নে বিকেএসপির ভূমিকা অসামান্য। এই প্রক্রিয়া আরও কীভাবে তরান্বিত করা যায় এ জন্য সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মহা পরিচালক। তার বিশ্বাস দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এর সুফল পাবে বাংলাদেশ।
বিকেএসপির মহাপরিচালক এ বিষয়ে বলেন, ‘ট্রেনিং কীভাবে হবে, বাজেট কীভাবে হবে, লজিস্টিক সিস্টেম কী হবে, নিউট্রিশনের ব্যবস্থা কী হবে, খাবার ব্যবস্থা কী হবে; দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। আপাতত ২০২৮ অলিম্পিক লক্ষ্য করা। পেপার তৈরি করে আমরা আস্তে আস্তে মন্ত্রণালয়ে পাঠাব, ফেডারেশনগুলোতে পাঠাব।’
২০২৮ অলিম্পিক গেমস সামনে রেখে দুটি ডিসিপ্লিন ঘিরে পরিকল্পনা করছে বিকেএসপি। অ্যাথলিটদের নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ২৬ লাখ টাকার বরাদ্দ চেয়েছে সরকারের কাছে।