সংবাদ প্রচারের সময় এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা: প্রতিবাদে সাংবাদিকের অনসন।

- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীতে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট নিয়ে সরাসরি সংবাদ প্রচারের সময় মো. রায়হান নামের এক সাংবাদিককে এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কার প্রতিবাদে প্রতীকী অনসনে বসেছেন তিনি।
শুক্রবার বেলা এগারোটায় কিছু প্ল্যাকার্ট হাতে নিয়ে তিনি পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে অনসনে বসেন। পরে রায়হানের সঙ্গে বিভিন্ন গনমাধ্যমে কাজ আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুক্ত হন। মো. রায়হান অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডাকা পোষ্ট. কমের পটুয়াখালী প্রতিনিধি। এছাড়া তিনি স্থানীয় সাংবাদ ভিত্তিক ফেসবুক পেইজ খবর পটুয়াখালীতে কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেপড়োয়া এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডকেটের কারনে জিম্মি হয়ে পরে রোগীসহ তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করে আসছে স্থানীয় মানুষ সহ হাসপাতালের রোগী এবং স্বজনরা। এঘটনায় এ্যাম্বুলেন্সে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদও প্রচার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক মুমুর্ষ রোগীকে ঢাকায় রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে রোগীর স্বজনরা ঢাকাগামী একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন এবং রোগীকে ওই এ্যাম্বুলেন্সে তোলেন। এসময় ওই এ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছে একটি ফোন আসলে তিনি ওই রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা ওই রোগীকে রাস্তায় মধ্যে ফেলে রাখেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মো. রায়হান হাসপাতালের সামনে যান। পরে তিনি সংবাদ ভিত্তিক ফেসবুক পেইজ খবর পটুয়াখালীতে সরাসরি সম্প্রচার শুরু করেন। এসময় পেছন থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে ধাক্কা দেয়। তারপরও তিনি বিচ্যুতি না হয়ে তার সম্প্রচার চালিয়ে যান। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে তিনি বেলা এগারোটার দিকে অনসন শুরু করেন। তার হাতে থাকা প্ল্যাকার্টগুলোতে লেখা ছিলো “এ্যাম্বুলেন্স গুলোই যেন লাশের মিছিল”, “রোগী বাচুক, সিন্ডিকেট নয়”, “রুখে দাড়ান, আওয়াজ তুলুন”।
সাংবাদিক মো. রায়হান বলেন, আমি যখন সরাসরি সম্প্রচার শুরু করি তখন হাসপাতাল এরিয়ার মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টি এ্যাম্বুলেন্স ছিলো। সম্প্রচার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এ্যাম্বুলেন্সগুলো হাসপাতাল ত্যাগ শুরু করে। এসময় একটি এ্যাম্বুলেন্স আমাকে পেছন থেকে তিন থেকে চারটি ধাক্কা দেয়া। এবং সে আমার শরীরের উপর দিয়ে চলে যেতে হয়। শেষ বারের ধাক্কা আমার সঙ্গে যে ক্যামেরায় ছিলেন তিনি সেটি প্রচার করতে পেরেছিলেন। ওই এ্যাম্বুলেন্সে যে চালক ছিলো তার নাম সবুজ। এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকিটের কাছে পুরো জেলাবাসী জিম্মি। এর শেষ কোথায়। এসব বেপড়োয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে জেলাবাসী রুখে দাড়াবে এবং আমরা সরাসরি আন্দোলনে নামবো। পটুয়াখালী বাসি এই সিন্ডিকেট এবার ভাঙবেই।
এ বিষয়ে জানাতে এ্যাম্বুলেন্স চালক সবুজের সঙ্গে হাসপাতাল চত্ত্বর এলাকায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, আমরা একবার অভিযান করেছি। পরে তাদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। ঈদের পরে আবারও তাদের সঙ্গে বসা হবে। এরপরও নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে এবং এভাবে সিন্ডিকেট চলতে দেয়া হবেনা।