ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপালগঞ্জে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা, অত্যাচার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করার -প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীতুবা আলমগীর ইসলাম ধর্ম ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গোবিন্দগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত পাটগ্রাম সীমান্তে দিয়ে ফের শিশুসহ ৭জনকে বিএসএফের পুশইন। সিএসএস-এমএফপি’র আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা লালমনিরহাটের বাঁশ শিল্পীরা অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কলাপাড়া শ্রমিক দল  নেতা সোহেল দেওয়ানকে বহিষ্কার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,অনৈতিক কার্মকান্ডে জড়িত থাকায় সোহেল দেওয়ান কে শ্রমিক দলের সদস্য পদ ও সাংগঠনিক পদ থেকে ষ্কার করা হয়েছে।
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপালগঞ্জে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা, অত্যাচার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করার -প্রতিবাদে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীতুবা আলমগীর ইসলাম ধর্ম ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গোবিন্দগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত পাটগ্রাম সীমান্তে দিয়ে ফের শিশুসহ ৭জনকে বিএসএফের পুশইন। সিএসএস-এমএফপি’র আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা লালমনিরহাটের বাঁশ শিল্পীরা অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় হামলা কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কলাপাড়া শ্রমিক দল  নেতা সোহেল দেওয়ানকে বহিষ্কার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,অনৈতিক কার্মকান্ডে জড়িত থাকায় সোহেল দেওয়ান কে শ্রমিক দলের সদস্য পদ ও সাংগঠনিক পদ থেকে ষ্কার করা হয়েছে।

কলাপাড়ায় চিঁ চিঁ শব্দে মুখর বাদুড়ের সাম্রাজ্যখ্যাত মুন্সি বাড়ি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:২১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সোলায়মান মুন্সির বাড়িটি যেন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি বাদুড়ের চিঁ চিঁ শব্দে মুখর থাকা যায়গাটি হয়ে উঠেছে বাদুড়ের সাম্রাজ্য। হাজার হাজার বাদুড় রেইনট্রি, তেতুল গাছ আর তালগাছে ঝুলে আছে। গাছে পাতা নয়, শুধুই বাদুড় আর বাদুড়। ছুটে চলে এ দিক সেদিক। এ যেন বাড়ী নয়, যেন বাদুড়ের রাজ্য।

উঁচু গাছের ডালে ডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা ছিল এক সময়ে স্বাভাবিক দৃশ্য। নিশাচর প্রাণী হিসেবে এদের ছিল অবাধ ছুটে চলা। রাত হলেই যে কোন ফলের প্রতি আক্রমণ ছিল এদের কাজ। এমন দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়েনা। নির্জন গাছ পালা, খাবার আর গরমের তীব্রতা বাড়ায় এদের উপস্থিতি কমছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বসত বাড়ীর পিছনে পুকুরের ধারে রয়েছে গাছ গাছালি।  সেই গাছে চোখ দিলেই দেখা যায় পা উপরে তুলে নিচে মাথা দিয়ে ঝুলে আছে বাদুড়। পা যেন গাছের সাথে হুক দিয়ে আটকে রাখা।  নিশাচর প্রাণীগুলো রাত হলে খাবারের সন্ধ্যানে বের হয়ে যায় আর ভোরের আলো উঁকি দেওয়ার সাথে সাথে চলে আসে হাজার হাজার বাদুড় নীড়ে। চিঁ চিঁ শব্দ আর প্রাণপণ ছুটে চলার দৃশ্য প্রায় দুই যুগ ধরে । এগুলোকে পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে করেন বাড়ীর মালিক।

স্থানীয়রা আর বাড়ীর পাশে প্রতিবেশীরাও অভ্যস্থ হয়ে গেছে এমন দৃশ্য দেখে। তাদেরও ঘুম আসেনা বাদুড়ের চিঁ চিঁ শব্দ ছাড়া। একটা সময় বাদুড়কে বিরক্ত করলেও এখন বাদুড় সচরাচর চোখে না পড়ার কারনে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের লোকজন মাঝে মাঝে বাদুড় দেখতে এ বাড়িতে ছুটে আসে।

প্রতিবেশী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি তাদের ডাকাডাকি শুনতে শুনতে। তাদের ডাকাডাকি শুনে ঘুম পড়ি আর তাদের ডাকাডাকি শুনে ঘুম ভাঙি। তাদের ডাক না শুনলে আমাদের ঘুম আসেনা।

শিক্ষার্থী মো. আবু রায়হান বলেন, আমরা মাঝে মাঝে কিচির মিচির শব্দ শুনতে সোলায়মান মুন্সির বাড়ী যাই। আমাদের ওরা ডিসটার্ব করেনা,আমরাও করিনা।

প্রতিবেশী হাফেজ সাইদুল হক মুন্সি বলেন, আমাদের বাড়ীর ফলফলাদি নষ্ট করলেও বাদুড়ের ডাক ও উড়ার দৃশ্য আমাদের মুগ্ধ করে। আমরাও ওদের সাথে একটা ভাব জমিয়েছি।

বাড়ীর মালিক মো. ফারুক খাঁন বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতই ওরা। ৩০ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়া থাকে। আমরাও ক্ষতি করিনা,ওরাও কোন ক্ষতি করেনা।

সাপ ও বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মী বায়জিদ মুন্সী  বলেন, বন্যপ্রাণীদের যথাযথ বিচরণের সুযোগ দিলে এদের বিস্তার বাড়বে। বাদুড়ের নিরাপদ আবাসস্থলগুলো ধরে রাখতে কাজ করছে তারা। পাশাপাশি প্রাণী রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কলাপাড়ায় চিঁ চিঁ শব্দে মুখর বাদুড়ের সাম্রাজ্যখ্যাত মুন্সি বাড়ি

আপডেট সময় : ১১:২১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সোলায়মান মুন্সির বাড়িটি যেন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি বাদুড়ের চিঁ চিঁ শব্দে মুখর থাকা যায়গাটি হয়ে উঠেছে বাদুড়ের সাম্রাজ্য। হাজার হাজার বাদুড় রেইনট্রি, তেতুল গাছ আর তালগাছে ঝুলে আছে। গাছে পাতা নয়, শুধুই বাদুড় আর বাদুড়। ছুটে চলে এ দিক সেদিক। এ যেন বাড়ী নয়, যেন বাদুড়ের রাজ্য।

উঁচু গাছের ডালে ডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা ছিল এক সময়ে স্বাভাবিক দৃশ্য। নিশাচর প্রাণী হিসেবে এদের ছিল অবাধ ছুটে চলা। রাত হলেই যে কোন ফলের প্রতি আক্রমণ ছিল এদের কাজ। এমন দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়েনা। নির্জন গাছ পালা, খাবার আর গরমের তীব্রতা বাড়ায় এদের উপস্থিতি কমছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বসত বাড়ীর পিছনে পুকুরের ধারে রয়েছে গাছ গাছালি।  সেই গাছে চোখ দিলেই দেখা যায় পা উপরে তুলে নিচে মাথা দিয়ে ঝুলে আছে বাদুড়। পা যেন গাছের সাথে হুক দিয়ে আটকে রাখা।  নিশাচর প্রাণীগুলো রাত হলে খাবারের সন্ধ্যানে বের হয়ে যায় আর ভোরের আলো উঁকি দেওয়ার সাথে সাথে চলে আসে হাজার হাজার বাদুড় নীড়ে। চিঁ চিঁ শব্দ আর প্রাণপণ ছুটে চলার দৃশ্য প্রায় দুই যুগ ধরে । এগুলোকে পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে করেন বাড়ীর মালিক।

স্থানীয়রা আর বাড়ীর পাশে প্রতিবেশীরাও অভ্যস্থ হয়ে গেছে এমন দৃশ্য দেখে। তাদেরও ঘুম আসেনা বাদুড়ের চিঁ চিঁ শব্দ ছাড়া। একটা সময় বাদুড়কে বিরক্ত করলেও এখন বাদুড় সচরাচর চোখে না পড়ার কারনে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের লোকজন মাঝে মাঝে বাদুড় দেখতে এ বাড়িতে ছুটে আসে।

প্রতিবেশী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি তাদের ডাকাডাকি শুনতে শুনতে। তাদের ডাকাডাকি শুনে ঘুম পড়ি আর তাদের ডাকাডাকি শুনে ঘুম ভাঙি। তাদের ডাক না শুনলে আমাদের ঘুম আসেনা।

শিক্ষার্থী মো. আবু রায়হান বলেন, আমরা মাঝে মাঝে কিচির মিচির শব্দ শুনতে সোলায়মান মুন্সির বাড়ী যাই। আমাদের ওরা ডিসটার্ব করেনা,আমরাও করিনা।

প্রতিবেশী হাফেজ সাইদুল হক মুন্সি বলেন, আমাদের বাড়ীর ফলফলাদি নষ্ট করলেও বাদুড়ের ডাক ও উড়ার দৃশ্য আমাদের মুগ্ধ করে। আমরাও ওদের সাথে একটা ভাব জমিয়েছি।

বাড়ীর মালিক মো. ফারুক খাঁন বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতই ওরা। ৩০ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়া থাকে। আমরাও ক্ষতি করিনা,ওরাও কোন ক্ষতি করেনা।

সাপ ও বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মী বায়জিদ মুন্সী  বলেন, বন্যপ্রাণীদের যথাযথ বিচরণের সুযোগ দিলে এদের বিস্তার বাড়বে। বাদুড়ের নিরাপদ আবাসস্থলগুলো ধরে রাখতে কাজ করছে তারা। পাশাপাশি প্রাণী রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান করেন।