তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জেটি ঘাটের ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করে প্রকৃত ঠিকাদারকে বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ধানখালি ইউপির মরিচবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাটে এ কর্মসূচি পালন করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। এসময় শত শত নারী,পুরুষ ও শিশুরা এতে অংশ গ্রহন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান ঠিকাদারকে বাদ দিতে একটি মহল ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাটের মালামাল লোড আনলোড করার কাজ বাগিয়ে নিতে চাচ্ছে। এটা সফল হলে এই এলাকার শতাধিক পরিবার না খেয়ে মরার উপক্রম হবে। কর্মহীন হয়ে পড়বে শতাধিক শ্রমিক। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একান্ত হস্তক্ষেপে প্রকৃত ঠিকাদারকে বহাল রাখার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী মোঃ মন্টু ফকির বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজন মালামাল লোড আনলোড করার কাজ করছে। এখন যদি অন্য লোক এই কাজ বাগিয়ে নেয় তাহলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে না খেয়ে মরবে। তাই পূর্বের ঠিকাদারকে বহাল রাখার দাবি জানাই। কারণ তিনি এলাকায় ভিটামাটি হারানো লোকজন নিয়ে কাজ করে।
মোঃ হিরন খান বলেন, এখানে পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারী শ্রমিকরাও কাজ করে। এই কাজ ভুয়া একটি কাগজ বানিয়ে কেউ হাতিয়ে নিলে তা মেনে নেয়া হবে না। তাছাড়া এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আমাদের সবার কমবেশি জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। তাই আমরা যদি এই কাজে থাকতে না পারি তাহলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাটের মালামাল লোড আনলোড কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে জীবন দেব তবুও কাজ করতে দেব না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিফতা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ শাহিন মৃধা জানান, এই কাজ পাওয়ার পর উক্ত এলাকার শতাধিক মানুষ নিয়ে কাজ করেছি। এখন একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে কাজটি বাগিয়ে নেয়, তাহলে এই এলাকার অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। তাই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনা করে সিন্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাই।
ওয়ার্ক অর্ডার নেওয়ার দাবীকৃত ব্যক্তি আমিনুল ইসলাম মহাসিন বলেন, আমি সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করে কাজ পেয়েিেছ। এখানে কোনো জালিয়াতি করা হয়নি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীদের নিয়েই কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত সিঙ্গাপুরি প্রতিষ্ঠান দাভাজুলি’র বরিশালের ডিজিএম অপারেশন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ মনির হোসেন বলেন, কাজ কে করবে না করবে এটা কোম্পানির বিষয়, তবে এলাকাবাসীর বিষয়টি আমি কোম্পানিকে জানাবো। তারা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে।